
হজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে: প্রধানমন্ত্রী

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবারে হজ শুরুর জুনের শেষ দিকে
১৯ মে ২০২৩, ১৬:৫৩
ঢাকা, এখন টিভি
১৯ মে ২০২৩, ১৬:৫৩
আবার এসেছে হজের মৌসুম। কাবার চত্বর আবার মুখরিত হবে লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক ধ্বনিতে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবারে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে জুনের শেষ দিকেই।
১৯ মে সকালে রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে চলতি বছরের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি বলেন, হাজিদের যাতে কষ্ট না হয় সে লক্ষ্যে সব ব্যবস্থাই নিচ্ছে তার সরকার। নানা সংকটের মাঝেও দেশকে একটি অর্থনীতির জন্য একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে এসেছে তার সরকার। এই অগ্রগতি যাতে আর কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এবারে ১ লাখ ২২ হাজারের মত বাংলাদেশি হজ পালনের জন্য নিবন্ধন করেছেন। তাদের বহন করবে ১৬০টি ফ্লাইট। এবারও ঢাকার মাটিতেই সম্পন্ন হবে আল্লাহর মেহমানদের সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন। আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে সম্পন্ন করা হবে লাগেজ-বোর্ডিং। ঝক্কি ঝামেলা ছাড়া যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যাবে সৌদি আরবের সফরকালীন আবাসে। এই হজক্যাম্পে প্রস্তুত ২,৪০০ হজযাত্রীদের জন্য ২৪টি নারী ও পুরুষের ডরমেটরি, হেল্প ডেস্ক, মেডিকেল ক্যাম্পসহ যাবতীয় অনুষঙ্গ।
হজ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, ব্যবস্থাপনা যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সে ব্যবস্থা করেছেন দিয়ে গেছেন জাতির পিতা। স্বাধীনতার পর জাহাজে করে অল্প খরচে হজে যাওয়ার সুব্যবস্থাও করেন বঙ্গবন্ধু।
এসময় হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নে সরকারের নানা দিক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ই-হজ ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রা সহজ হয়েছে। হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন, নিবন্ধন, রিফান্ড, ফ্লাইট, হেল্পডেস্ক, কল সেন্টার, মোবাইল অ্যাপ, এজেন্সি প্রোফাইল ব্যবস্থাপনা, ভাষা শিক্ষাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদিত হয় ই-হজ ব্যবস্থাপনায়। হজ বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল এবং হজযাত্রীদের সেবা প্রদানকারী মোবাইল অ্যাপস প্রস্তুত করা হয়েছে। এর ফলে হজযাত্রীরা তাদের ভিসা, পাসপোর্ট, আবাসন, মেডিকেল সুবিধা, সৌদি আরব গমন ইত্যাদি বিষয় সহজ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। যাতে হজযাত্রীদের কোন সমস্যা না হয়। হলেও যেন সহজে সে সমস্যা সমাধান হয় তার ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার। ২০২২ সালে বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে বলেও জানান।
হজ ফ্লাইট ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং-এর মাধ্যমে ফ্লাইট বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, হজ ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া যা সামনের দিনে আরও আরও উন্নত হবে। হজযাত্রীদের লাগেজ হারানো এবং অব্যবস্থাপনা আমরা দূর করেছি। প্রত্যেক হজযাত্রীকে এসএমএস এর মাধ্যমে হজ বিষয়ক নোটিফিকেশন প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও হজ বিষয়ক কল সেন্টার খুলে দেয়া হয়েছে। ১৬১৩৬ নম্বরে কল করে হজ সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, আমরা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ২০২১ প্রণয়ন করেছেন। দেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতি আমরা অব্যাহত রেখেছেন। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছে তার সরকার। এই ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেষ্ট থাকার কথা বলেন তিনি। সন্তান যেন জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদে জড়িয়ে না পড়ে, সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
হজের প্রথম ফ্লাইট উড্ডয়নের একদিন আগে আশকোনার হজক্যাম্পে হজের সামগ্রিক এসব কর্মকাণ্ডের উদ্বোধন করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ১৪০ হজযাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী এই আয়োজনে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পরে কথা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া করবেন। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে'।
কেএফ