
শেরপুরে আলু চাষে প্রতি একরে লাভ ৬০ হাজার টাকা
জাহিদুল খান সৌরভ , এখন টিভি
২৪ মার্চ ২০২৩, ১৫:৪৪
চলতি মৌসুমে ১৮৮ কোটি টাকারও বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে শেরপুরে। আর প্রতি একরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা মুনাফা করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলার ৫ উপজেলায় আলুর উৎপাদন হয়েছে ৮৮ হাজার ৭৭৪ টন।
ভালো লাভ পাওয়ায় অন্য ফসলের পাশাপাশি শেরপুরে দিন দিন বাড়ছে আলুর আবাদ। চলতি মৌসুমে জেলায় ৫ হাজার ১শ' ১০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। কিন্তু সে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয় পাঁচ হাজার দুইশ' ২২ হেক্টর জমিতে।
বছরের শুরুতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি প্রতিকূল আবহাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় পড়েন কৃষকরা। তবে, সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে মৌসুম শেষে উৎপাদন ছাড়ায় ৮৮ হাজার ৭৭৪ মেট্রিকটন।
আলু চাষে প্রতি একরে লাভ হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া গাছ কাটার পর একই জমিতে পাট ও ভুট্টা আবাদ করে আয় করা যায় বাড়তি টাকা।
কৃষকরা বলছেন, এই আলু দেখতে সুন্দর, সাইজ ভালো, এছাড়া ফলন ভালো হওয়ায় প্রতি একরে আমরা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভবান হবো।
এদিকে আলু আবাদে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে হাজারো নারীর। গাছ কাটা আর বাছাইয়ের কাজ করে মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করছেন তারা। এতে স্বচ্ছল হয়েছে অনেক পরিবার।
নারী শ্রমিকরা বলেন, সকালে আসি ৫ টার সময় চলে যাই, দিন প্রতি ২৫০ টাকা বেতন পাই।
কৃষি বিভাগ জানায়, এখানে উৎপাদিত বড় জাতের আলু দিয়ে তৈরি হয় চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইসহ মুখরোচক নানা খাবার। তাই এর চাহিদা এখন বিশ্বজুড়ে। এবছর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ২০০ টন শেরপুরের আলু রপ্তানি হবে মালোয়েশিয়া, রাশিয়া ও শ্রীলংকায়।
বিএডিসি শেরপুরের উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান বলেন, প্রচলিত জাতগুলোতে থেকে উৎপাদন হতো প্রায় ৩০ মেট্রিক টন আলু, আমরা এখানে পেয়েছি ৪০ থেকে ৪১ মেট্রিক টন।
একসময় গরীবের খাবার বলা হলেও এখন বেশিরভাগ মানুষের নিত্যদিনের সবজি আলু। তাইতো দেশে আলু উৎপাদনে ঘটেছে নিরব বিপ্লব। ভাতের বিকল্প হিসেবে আলু খুব একটা জনপ্রিয়তা না পেলেও বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়, একজন বাংলাদেশী নাগরিক বছরে প্রায় ২৩ কেজি আলু খান।
এফএইচ