
কুমিল্লায় প্রতিদিন ৬-৭ কোটি টাকার দুধ উৎপাদন হচ্ছে
খালেদ সাইফুল্লাহ , এখন টিভি
২০ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৩
কুমিল্লায় দুধের গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিলোনিয়া। এখান থেকে প্রতিদিন ৬-৭ কোটি টাকার দুধ বাজারজাত হয়। তবে দুধের বহুমুখী ব্যবহার না বাড়ায় চাহিদার অতিরিক্ত দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েন খামারিরা। তাই দুধ সংরক্ষণে জেলায় ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে। যেখানে প্রতিদিন ৪০ হাজার লিটার দুধ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করা হবে। এটি চালু হলে দুধের ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা খামারিদের।
কাকডাকা ভোরেই কুমিল্লার লালমাইয়ের ছিলোনিয়া গ্রামে গোয়ালাদের ব্যস্ততা শুরু হয়। আবদুল আজিজের খামারের সামনে জমা হতে থাকে সারি সারি পাত্র। যেখানে দুধ সংগ্রহ করতে আসেন মিষ্টি কারখানার লোকজন।
২০০৪ সালে পরিবারের চাহিদা পূরণে গাভী পালন শুরু করলেও লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিক খামার গড়ে তুলেন আজিজ। বর্তমানে তাঁর খামারে গাভীর সংখ্যা ১৭৮টি।
আবদুল আজিজ বলেন, প্রথমে একটি গাভী পালন শুরু করি। পরে পরিবারের দুধের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাকি দুধ বাজারে বিক্রি করতাম। এতে করে প্রতিদিন কিছু উপার্জনের সুযোগ তৈরি হয়।
তাঁর সফলতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আশপাশের ৫ গ্রামের মানুষ গড়ে তুলছেন খামার। এসব খামারে রয়েছে প্রায় তিন হাজার গাভী। এখান থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার লিটার দুধ বাজারে যাচ্ছে। তবে গ্রামে দুধের বহুমুখী ব্যবহার কম থাকায় ন্যায্যমূল্য পান না খামারিরা। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ে দুধ বিক্রি না হলে বিপাকে পড়েন তাঁরা।
গাভী পালনের সাথে যুক্ত হয়েছে বহুমাত্রিক অর্থনীতি। দানাদার খাদ্যের ব্যয় সংকোচনের জন্য ঘাসের চাষ করেছেন গ্রামের কৃষকরা। এসব খামারকে কেন্দ্র করে জৈবসার ও বায়োগ্যাস উৎপাদন হচ্ছে।
দুধ প্রসেসিং কোনো প্ল্যান্ট না থাকায় মিষ্টির দোকানের উপরই নির্ভরশীল খামারিরা। তাই এবার ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে হাব করার চিন্তা করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। হাবের অধীনে ২০টি কালেকশন সেন্টার থাকবে। প্রতিটি হাব থেকে ২ থেকে ৩ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহের পর প্রক্রিয়াজাত শেষে সারাদেশে সরবরাহ করা হবে।
কুমিল্লায় ছোট-বড় ৫০ হাজার ডেইরি খামার রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন উৎপাদন হয় এক হাজার ২৩৩ টন দুধ, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা।
এএইচ