Ekhon TV :: এখন টিভি

নদী শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তা

বোরো আবাদের সেচ খরচ বাড়ার আশঙ্কা

আব্বাস আলী , এখন টিভি

১৯ মার্চ ২০২৩, ১৮:০৪

নির্ধারিত সময়ের আগেই কমে গেছে নওগাঁর ছোট যমুনাসহ কয়েকটি নদীর পানি। এতে ইরি-বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক। আবার বোরো আবাদের খরচ বাড়ায় রয়েছে ক্ষতির আশঙ্কাও। এদিকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জীবিকা নিয়ে চিন্তিত এখানকার জেলেরা।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁয় ইরি-বোরো রোপন ও পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছের কৃষক। এই আবাদ প্রক্রিয়া নির্ভরশীল নদী কেন্দ্রিক সেচ ব্যবস্থার ওপর। তবে বিগত বছরের তুলনায় বৃষ্টি কম হওয়ায় দ্রুত কমতে শুরু করেছে ছোট যমুনা, আত্রাই, তুলসিগঙ্গা ও মহানন্দা নদীর পানি। এতে দুশিন্তায় কৃষকরা।

এসব নদীর পানি দিয়ে প্রায় ১০-১৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো আবাদ হয়। এছাড়া বছরের অন্য সময় গম, আলু, পাট, সরিষা ও শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসলও চাষ করা হয়। তবে কৃষকদের শঙ্কা, কিছুদিনের মধ্যেই পানির অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ভাসমান সেচ পদ্ধতি। পাশাপাশি সার, তেল, শ্রমিকের মজুরি ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় বোরো আবাদে খরচ বাড়ায় লোকসানের শঙ্কাও রয়েছে।

কৃষকরা জানান, ‘নদীতে চরের কারণে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। বছরের ছয় মাস পানি থাকে আবার বাকি ছয়মাস পানি শুকিয়ে যায়। এতে আমরা যারা কৃষক আছি তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।’

বিএমডিএ-র তথ্যমতে, জেলায় ৪ হাজারের বেশি গভীর নলকুপ দিয়ে সেচ হয় ৯৮ হাজার হেক্টর জমিতে, যেখানে বিঘাপ্রতি খরচ এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। অন্যদিকে, ভাসমান পদ্ধতিতে সেচের আওতায় বোরো আবাদ হয় ১ লাখ হেক্টর জমির, যেখানে বিঘাপ্রতি খরচ ২ হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকা।

কৃষকরা আরও জানান, ‘তিনবার ফসল ফলানোর কারণে কাঙ্খিত ফলন আমরা পাচ্ছি না। আর নদীতে পানি না থাকায় সেচ দিতে হচ্ছে, এতে চাষের খরচ আগের থেকে অনেক বেড়েছে।’

এদিকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জীবিকা নিয়ে চিন্তিত এখানকার জেলেরা। তারা বলেন, ‘আগে এই নদীতে মাছ শিকার করে পুরো পরিবার চলতো। কিন্তু এখন নদী শুকিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার হাজারো পরিবার অশহায় হয়ে পড়েছে।’

কৃষকের সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে গভীর নলকুপ স্থাপনের মাধ্যমে সেচ কাজ পরিচালনার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।

বরেন্দ্র বহুমূর্খী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নওগাঁ রিজিয়ন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কিছু কিছু এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নেমে গিয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে সেসব এলাকায় ডিপটিউবয়েল বসিয়ে কৃষকরা যেন তাদের সেচ কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করে যাবো।’

জেলায় এ বছর ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টন ধান উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে। ১২০০ টাকা মণ হিসেবে যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement