
লালমনিরহাটে কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা ‘গাজর’
প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় বিপাকে কৃষক
মাহফুজুল ইসলাম বকুল , এখন টিভি
১৮ মার্চ ২০২৩, ১৮:১৯
উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে প্রথমবারের মতো গাজর চাষ করে সফল তিস্তা পাড়ের কৃষকরা। জেলার কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা দেখছে জেলা কৃষি কার্যালয়। তবে ফলন ভালো হলেও প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় বিপাকে কৃষকরা।
পুষ্টিকর সবজি হিসেবে সারাবছরই চাহিদা থাকে গাজরের। এতে ক্যালসিয়াম, লৌহ, ফসফরাস, শ্বেতসারসহ অন্যান্য ভিটামিন বিদ্যমান। তরকারি ও সালাদের অনুষঙ্গ হিসেবেও পাতে ওঠে এই সবজি।
চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো গাজর আবাদ হচ্ছে লালমনিরহাটের তিস্তার চরে। চরাঞ্চলের পরিত্যক্ত জমিকেই চাষের জন্য ব্যবহার করছেন তিস্তা পাড়ের কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকদের পাশাপাশি অন্যান্য জেলার কৃষকরাও যুক্ত হয়েছেন তিস্তার চরে গাজর চাষে। তাদেরই একজন কুড়িগ্রামের দুলাল হোসেন। বিস্তৃত চরাঞ্চলে চুক্তিতে জমি নিয়ে করেছেন গাজরের আবাদ। তবে ফলন ভালো হলেও বাজারে প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তার।
উদ্যোক্তা দুলাল হোসেন বলেন, ‘এবছর গাজরের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারে চাহিদা একটু কম রয়েছে।’
রবি মৌসুমে ১৯০ হেক্টর জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে। লাভজনক এ ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নানা পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতার কথা জানালেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবছর গাজরের ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমানে ক্ষেত থেকে কৃষকরা যে গাজর তুলছেন তা দিয়ে তারা ভালো লাভবান হবেন বলে আশা করছি।’
প্রতিবছরই শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার বিভিন্ন চরে আবাদ উপযোগী হয় কয়েক হাজার হেক্টর জমি। যেখানে চাষ হয় নানা ধরনের শস্য।
আকন