Ekhon TV :: এখন টিভি

রাজশাহীতে আমবাগানে গড়ে তোলা হয়েছে ফুলের পার্ক। যেখানে লিলিয়াম, গ্লাডিওলাস, সেলোসিয়াসহ দেশ-বিদেশের নানা জাতের ফুলের সাথে পরিচিত হতে আসছেন দর্শনার্থীরা। সাবেক বিমান কর্মকর্তার এই উদ্যোগ কৃষি পর্যটনে সম্ভাবনা তৈরি করেছে। 

২০০ বছরের পুরনো জনপদ রাজশাহী। আকাশ থেকে তাকালে খুব সহজে চোখে পড়ে, শহরটির বুক চিরে দাঁড়িয়ে থাকা সুউচ্চ ভবন। যান্ত্রিকতার আবছায়ায় মোড়ানো শহুরে বাসিন্দাদের এখনো সতেজ রেখে চলেছে বহমান পদ্মা। 

বিনোদনের বিস্বাদ ঘুচাতে বছর দুয়েক আগে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নেন সাবেক বিমান কর্মকর্তা এম হাসান জুবেরী। শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে কাশিয়াডাঙা-কাকনহাট সড়কের পলাশবাড়ি এলাকায় গড়ে তোলেন রাজশাহীর প্রথম ফুলের পার্ক।

প্রায় চার একর আয়তনের এই পার্কটিতে ৩৭০টি আমগাছের মাঝে শোভা পাচ্ছে লিলিয়াম, গ্লাডিওলাস, সেলোসিয়া, পিটুনিয়া, গেজেনিয়া, ইনকা গাদা, জিনিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, এন্টাহেনা, কৌলাশসহ দেশ বিদেশের ২৬টি জাতের ফুল। যেখানে সারি সারি গাছের ডালে দোল খায় বাহারি এসব ফুলের টব। দর্শনার্থীরাও বেশ মুগ্ধ ফুলের পার্কে এসে।

দর্শনার্থীরা বলেন, বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে এখানে এসেছি। খুব ভালো লাগছে। নতুন নতুন ফুলের সঙ্গে আমরা পরিচিত হতে পারছি। অনেক ভালো লাগছে।

গ্রীষ্মে দেশের নানা প্রান্তে সুস্বাদু আম পৌঁছে দিয়ে বছরের বাকি সময় অলস পড়ে থাকে রাজশাহীর আম বাগানগুলো। বাগান ঘিরে এমন উদ্যোগ প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি রাজশাহীতে কৃষি পর্যটনের দ্বার উন্মোচন করবে বলে প্রত্যাশা উদ্যোক্তার।

ড্রিমার্স গার্ডেনের স্বত্বাধিকারী এম হাসান জুবেরী বলেন, বাংলাদেশে খুব বেশি ফুলের পার্ক নেই। দেশের বাইরে ফুলের পার্ক দেখেই আমার আগ্রহ তৈরি হয়। পরে ফুলের পার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করি। যাতে করে মানুষ ফুলের সঙ্গে পরিচিত হয়ে মুগ্ধ হতে পারে।

আগামীতে ফুল চাষের পরিধি বাড়িয়ে দেশ-বিদেশের নানা জাতের ফুলের সাথে মানুষের পরিচয় ঘটাতে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement