Ekhon TV :: এখন টিভি

দফায় দফায় বেড়েছে গ্যাসের দাম। যার প্রভাব পড়েছে সুতা উৎপাদন কারখানায়। সুতা তৈরির ব্যয় বাড়ায় বেড়েছে কাপড় উৎপাদনের খরচ। যার সার্বিক প্রভাব এখন ইসলামপুরে পাইকারি কাপড়ের বাজারে। গজ প্রতি অন্তত ৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা বেড়েছে। আর দাম বাড়ায় বেচাকেনাও কমেছে। 

দর্জিবাড়িতে রমজানের শুরুতেই পোশাক বানিয়ে দেয়ার তাড়া থাকে। তাই ঈদের নতুন পোশাকের জন্যে প্রথম চাহিদা থান কাপড়। তারই খোঁজে ভিড় বাড়ে পাইকারির বড় বাজার ইসলামপুরে। এটিই ঈদ উপলক্ষে স্বাভাবিক চিত্র ছিল। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। কাপড় বাছাই, কেনা ও দরদামের হাঁকডাক নেই।

ইসলামপুরে দোকানের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। দেশীয় ছাড়াও ভারতীয়, চীনা ও পাকিস্তানী কাপড় এখানে কম দামে পাওয়া যায়। ঈদ মওসুমে ব্যবসায়ীরা বিক্রির যে হিসাব করেছিলেন, বর্তমানে অতীতের সঙ্গে তার বিস্তর ফারাক।

ব্যবসায়ীরা বলেন, রমজান উপলক্ষে প্রতিবছর যে বেচাকেনা থাকে সে তুলনায় এবার খুবই খারাপ। দিনে যে বেচাকেনা হতো এখন মাস হিসেবে সে বেচাকেনা হচ্ছে না।

ইসলামপুরে প্রায় প্রতিটি পণ্যেই গজ প্রতি ৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। বিদেশি শার্ট-প্যান্টের পিসে গজ প্রতি ৫০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ছে। পায়জামা-পাঞ্জাবির কাপড়ের গজ প্রতি বেড়েছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। মেয়েদের দেশী-বিদেশি সালোয়ার কামিজে বেড়েছে ১০০ থেকে ৩oo টাকা পর্যন্ত।

দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি। গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় সুতা উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। আর এর প্রভাব ক্রেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর পড়েছে।

ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নেসার উদ্দিন বলেন, করোনাকাল কাটিয়ে না উঠতেই ডলার সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। এতে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের টিকে থাকাই ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

অন্যান্য বিপনী বিতান এবং অনলাইন দোকাগুলোতেও বাড়তি দামের প্রভাব পড়ছে। কাপড় বিক্রির ওপর পাঁচ শতাংশ ভ্যাটের চাপ সামলাতে হাঁসফাঁস অবস্থা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। কাপড়ের বাজারের মন্দ অবস্থার মাঝেও ঈদ উপলক্ষে ভালো বেচাকেনার আশা করছেন কাপড় ও পোশাক ব্যবসায়ীরা।

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement