Ekhon TV :: এখন টিভি

ঝিনাইদহে হুমকিতে ১৮০ কোটি টাকার মুরগির বাজার

হ্যাচারি ও মধ্যসত্ত্বভোগীদের দমনে ব্যর্থ প্রশাসন

১৬ মার্চ ২০২৩, ১১:১৪

মুরগির বাচ্চার অভাবে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঝিনাইদহের পোলট্রি খামার। হ্যাচারিগুলোর কাছে পোলট্রি শিল্প জিম্মি হয়ে পড়ার অভিযোগ খামারিদের। কোম্পানির সাথে চুক্তি না থাকলে দেয়া হচ্ছে না মুরগির বাচ্চা। এখতিয়ার নেই বলে দায় এড়াচ্ছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতে, পোলট্রি ব্যবসা বন্ধসহ হুমকির মুখে জেলার ১৮০ কোটি টাকার মুরগির বাজার।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ। স্থানীয় পোলট্রি খামার থেকে মুরগি কিনে বিক্রি করতেন স্থানীয় বাজারে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ মুরগি বিক্রি করলেও এখন সাপ্তাহিক হাটের দিনেও একেবারেই ব্যবসা নেই।

রশিদ বলেন, ‘বর্তমানে মুরগির দাম অনেক বেশি। টাকা পয়সা না থাকায় আগের মত এখন আর তেমন মুরগি আনতেও পারছি না আর বিক্রিও করতে পারছি না।’

আব্দুর রশিদের মতো অনেক ব্যবসায়ী যেসব খামার থেকে মুরগি সংগ্রহ করতেন সেসব খামারিরা কেন মুরগি সরবরাহ করছে না তা জানতে কথা হয় শৈলকুপা উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের পোলট্রি খামারি সোহেল রানার সাথে। 

তিনি জানান- বাচ্চার অভাবে তার খামার এখন বন্ধ হওয়ার পথে। বলেন- গত দুই মাস ধরে হ্যাচারিগুলো বাচ্চা সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে। এতে, ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি।

এমন অভিযোগ জেলার বেশিরভাগ পোলট্রি খামারির। হ্যাচারিগুলো কারসাজি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বলে জানান তারা।

চাহিদার বিপরীতে বাজারে পোলট্রি মুরগির সংকটের কথা স্বীকার করছে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও মধ্যসত্ত্বভোগীদের কাছে নিজেদের অসহায়ত্বের কথাও জানান প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনোজিৎ কুমার সরকার বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অফিস ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যাতে তারা নিজেরাই খাবার তৈরি করতে পারবে এর ওপর।’

ঝিনাইদহে প্রায় ৫ হাজার পোলট্রি খামারে মধ্যে বাচ্চার অভাবে ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি খামার। এতে প্রভাব পড়েছে জেলার ১৮০ কোটি টাকার মুরগির বাজারে।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement