
নতুন টায়ারের দাম বাড়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন পুরনো টায়ারে, তবুও নেই স্বস্তি
কাইয়ুম কবির , এখন টিভি
১৪ মার্চ ২০২৩, ১৬:৪৩
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যক্তিগত গাড়ির টায়ারের দাম। বছর ব্যবধানে এই হার দেড় থেকে দুইগুণ হয়েছে। নতুন টায়ারের বদলে অনেকেই ঝুঁকছেন পুরনো টায়ারে। আর স্বস্তিও নেই রিকন্ডিশন টায়ারের বাজারে। নতুন টায়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে রিকন্ডিশন টায়ারের, যার ফলে দামও বেড়েছে।
যেকোন গাড়ির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হলো গাড়ির টায়ার। কারণ এর উপর নির্ভর করে একটি গাড়ির স্ট্যাবিলিটি, মাইলেজ ও ভালো পারফরম্যান্স।
দেশে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে টায়ারের চাহিদা। তবে আমদানিনির্ভর হওয়ায় টায়ারের বাজারে সম্প্রতি দেখা দিয়েছে অস্থিতিশীলতা। ৫ হাজার টাকা মূল্যের টায়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার টাকা।
বাংলাদেশে যেসব ব্যান্ডের টায়ারের চাহিদা বেশি, এর মধ্যে শীর্ষে আছে বিজেসটন, ইয়কোহামা ও ডানলপ। বছর ব্যবধানে এসব কোম্পানির টায়ারের দাম বেড়েছে গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। একইসঙ্গে চাইনিজ টায়ারের দাম দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বেড়েছে।
টায়ারের শুধু দামই বাড়েনি, বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা। একজন বিক্রেতা বলেন, নতুন টায়ারের পাশাপাশি পুরনো টায়ারের চাহিদাও বাড়ছে এবং পুরনো টায়ারের দাম বাড়ছে।
উত্তরা টায়ার বাজারের স্বত্বাধিকারী নূর মোহাম্মদ শেখ বলেন, নতুন প্রোডাক্ট মার্কেটে আসতেছে না। এই কারণে দাম বাড়ছে। ডলারের রেট বাড়ার কারণেও প্রভাব পড়ছে এই বাজারে। আবার আমাদের ট্যাক্সেরও পরিমাণ বাড়ছে।
ভলজা গ্রো গ্লোবাল এর তথ্যমতে, এই টায়ার আনার জন্য বাংলাদেশে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৭০২টি। আর সবচেয়ে বেশি টায়ার ভারত, চায়না ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়।
বিজেস্টন পয়েন্টের হেড অব সেলস এন্ড মার্কেটিং মো. হুমায়ূন কবির বলেন, বাংলাদেশে টায়ার ম্যানুফ্যাকচার হয় না। তাই বহির্বিশ্বের আমরা উপর নির্ভরশীল। আগে যে দামে আমরা টায়ার নিয়ে আসতে পারতাম, সেই দামে এখন আমরা নিয়ে আসতে পারছি না। দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
আমদানিনির্ভর টায়ারের চড়া বাজারে তাই ক্রেতা ও বিক্রেতা সবার দাবি, ব্যক্তিগত গাড়ির টায়ার উৎপাদনে এগিয়ে আসুক দেশীয় ব্রান্ড। এতে যেমন সাশ্রয় হবে ডলার, তেমন দামেও আসবে স্থিতিশীলতা।
আরএন