
পঞ্চগড়ে উৎপাদন হচ্ছে আমেরিকার চিয়াসিড
লুৎফর রহমান , এখন টিভি
১৪ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩২
দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকার ফসল চিয়াসিড পঞ্চগড়ে চাষ হচ্ছে। পুষ্টি ও ওষুধি গুণসমৃদ্ধ চিয়াসিড ঘিরে এ জেলার কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রতি কেজি চিয়াসিডের দাম প্রায় এক হাজার টাকা। মাত্র ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগে বিঘা প্রতি লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। দেশে এর উৎপাদন হলে কৃষকের যেমন আয় বাড়বে, তেমন আমদানি ব্যয়ও বাঁচবে।
নিয়মিত চিয়াসিড খাওয়া থেকেই পঞ্চগড়ের ছেলে আমিনুর রহমানের চাষের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। গত বছর এক বিঘা জমিতে চিয়াসিড চাষ করেন তিনি। অন্য ফসলের তুলনায় ৬ থেকে ৭ গুণ বেশি লাভ আসায় এবার ৯ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন চিয়াসিড। এরইমধ্যে ফসল উঠতে শুরু করেছে। বিঘা প্রতি লাখ টাকা লাভের আশা তাঁর।
আমিনুর রহমান বলেন, ইউটিউবে প্রতিবেদন দেখে চিয়াসিড খাওয়া শুরু করি। এরপর চাষের আগ্রহ তৈরি হয়। গত বছর দেড় বিঘা জমিতে চাষ করে ভালো ফসল পেয়েছিলাম।
চিয়াসিড চাষীরা বলেন, আমিনুরের চাষ দেখে আমরা উদ্বুদ্ধ হই। চিয়াসিড ভালো উৎপাদন হচ্ছে। আর কম বিনিয়োগে বেশি লাভ হওয়ায় সবাই চাষ করছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, পঞ্চগড়ের মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় চিয়াসিড ভালো উৎপাদন হচ্ছে। আমাদের এখানে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এই ফসল চাষ করা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, আমদানিকৃত চিয়াসিড প্রতি কেজি এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়লে দাম কমার আশা বিক্রেতাদের।
আমদানিকারকরা বলছেন, প্রতি মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ মেট্রিক টনের ওপর চিয়াসিড আমদানি করা হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়লে আমাদের আমদানি ব্যয় অনেক কমে যাবে।
বছরে দেশে প্রায় ৩০০ মেট্রিক টন চিয়াসিডের চাহিদা রয়েছে।
এএইচ