Ekhon TV :: এখন টিভি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার রবিরবাজারে সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় ফার্নিচার মার্কেট গড়ে উঠেছে। তিন শতাধিক দোকান ও কারখানায় মাসে পাঁচ কোটি টাকার বেশি আসবাবপত্র বিক্রি হচ্ছে। এতে অন্তত ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। ফার্নিচারের এই বিশাল বাজার টিকিয়ে রাখতে ফার্নিচার ব্যবসাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি ব্যবসায়ীদের। 

এই ফার্নিচারের বাজারে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ক্রেতারা। কারণ কম দামে এখানে ভালো ও বাহারি নকশার ফার্নিচার পাওয়া যায়। আর এই বাজারের সুনাম এখন পুরো সিলেট বিভাগজুড়ে।

ক্রেতারা বলেন, এখানকার ফার্নিচারের কাঠগুলো ভালো। আর সাধ্যের মধ্যে কম দামে ভালো ফার্নিচার পাওয়া যায়। 

রবিরবাজারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাঠের কাজের সাথে জড়িত অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

ফার্নিচার দোকানের কর্মচারীরা বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা ফার্নিচার তৈরি করি। কম দামে পছন্দের ফার্নিচার পেয়ে ক্রেতারাও খুশি। 

আগে হাতে নকশা কেটেই বাহারি ফার্নিচার তৈরি করা হতো। কিন্তু এখন সে কাজ মেশিনেই হচ্ছে। তারপরও এখানকার বাজারে হাত করা নকশার ফার্নিচারের কদর রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার বেচাকেনা হচ্ছে, মাসে যার পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি।

ফার্নিচার শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. কামাল আহমেদ বলেন, এখানে কাজের মাধ্যমে উপজেলায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা জানান, লাইসেন্স নিয়ে এখানকার কাঠের জোগানদাতা স'মিলগুলোর মালিক এক ধরনের জটিলতায় ভুগছেন। এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার দাবি তাঁদের।

প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি ফার্নিচার বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যায়। যা ঘিরে এখানে আরও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

স্বর্ণরুপা ফার্নিচার অ্যান্ড মেশিনারিজের স্বত্বাধিকারী লিটন চন্দ্র দাস বলেন, সিলেট বিভাগের মধ্যে রবিরবাজারের ফার্নিচার সেরা। কম দামে ভালো কাঠের ফার্নিচার তৈরি হওয়ায় এখানকার ফার্নিচার বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে।
 

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement