
টাকা নিয়ে জেলেদের মাছ ধরতে দেয়ার অভিযোগ নৌপুলিশের বিরুদ্ধে
কাজী মনিরুজ্জামান , এখন টিভি
১৪ মার্চ ২০২৩, ১৪:৪৮
দেশের পাঁচটি মাছের অভয়াশ্রমে দুই মাস নিষেধজ্ঞা থাকলেও শরীয়তপুরে পদ্মা নদীতে অবাধে চলছে মাছ শিকার। অভিযোগ রয়েছে, এতে সহযোগিতা করছে নৌপুলিশ। আর এজন্য নৌপুলিশকে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।
পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাছের অভয়াশ্রম। নদীতে এখন সব ধরনের জাল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু পদ্মা নদীর নড়িয়া থেকে ভেদরগঞ্জ পর্যন্ত প্রকাশ্যে চলছে মাছ শিকার। পাড়ে নৌকা ভিড়িয়ে মেরামত করছেন জাল। আর অকপটে মাছ ধরার কথাও স্বীকার করছেন।
জেলেরা বলেন, নিষেধাজ্ঞা আছে এটা আমরা জানি। কিন্তু আমরা নদী থেকে বড় মাছ ধরি। আমাদের জালে কোনো ইলিশ মাছ আসে না। এছাড়া পরিবার পরিচালনার জন্য বাধ্য হয়ে মাছ ধরছেন বলে জানান তাঁরা।
অন্যদিকে জেলেদের মাথায় ঋণের চাপও আছে। অনেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কিনেছেন নৌকা। এই অবস্থায় টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলেরা। তাই বাধ্য হয়েই নদীতে নামছেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেও রয়েছে বিপত্তি। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ জেলেদের।
পুলিশের কোনো সদস্য অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেন সুরেশ্বর নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আর যদি কোনো পুলিশ সদস্য টাকা নিয়ে মাছ ধরতে সহযোগিতা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ