
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি কমেছে, রাজস্ব আদায়ে ভাটা
হাজেরা শিউলি , এখন টিভি
১৪ মার্চ ২০২৩, ১৩:১৭
বিশ্বমন্দা ও ডলার সংকটে কমেছে বাণিজ্য। ফলে ক্রমশ কমেছে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসা আর কনটেইনার ও কার্গো ওঠানামা। চাহিদা অনুযায়ী এলসি খুলতে না পারায় চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে পাঁচ শতাংশের বেশি আমদানি কমেছে। এতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ে ভাটা পড়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব পড়েছে। অল্প প্রয়োজনীয় ও বিলাস পণ্য বিক্রির বেচাকেনাও কমেছে। এছাড়া বাংলাদেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডলার সংকট কাটিয়ে উঠতে না পারায় ভোগ্যপণ্য ছাড়া অন্য পণ্যের এলসি খুলতে নিরুৎসাহিত করছে ব্যাংক।
শিল্পের কাঁচামাল ছাড়া অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি হচ্ছে সীমিত আকারে। ফলে আগে জেটিতে জাহাজ ভেড়ার আগে বহিনোঙরে দুই থেকে তিন দিন অপেক্ষা করতে হলেও এখন ভিন্ন চিত্র। বন্দরে জাহাজ কিংবা কনটেইনার জট নেই। বরং অধিকাংশ সময় বন্দরের দুই থেকে তিনটি জেটি ফাঁকা থাকছে।
গত বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দেশের প্রধান এই বন্দরে ৭২৮টি জাহাজ ভিড়লেও চলতি বছরে একই সময়ে জাহাজ এসেছে ৬৫০টি। ফলে দুই মাসে গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার টিইইউএস কনটেইনার ওঠানামা কম হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আগের চেয়ে কিছুটা কনটেইনারের সংখ্যা কম। আগে যখন সাড়ে তিন হাজারের বেশি কনটেইনার ডেলিভারি হতো এখন তিন হাজারের কম ডেলিভারি হয়।
এ অবস্থায় আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব সেক্টরে পড়েছে বিরূপ প্রভাব। জাহাজের ট্রিপ কমায় লোকসানের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সার্ভিস বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে কিছু কিছু ফিডার অপারেটর।
এদিকে আমাদানি কমায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারছে না চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বিশেষ করে, ফলমূল, গাড়ি, কসমেটিকস, পারফিউম , শ্যাম্পু, সাবান, বাচ্চাদের খেলনা, পোশাক, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের এক্সেসরিজসহ বিলাস ও বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি কমায় কমেছে রাজস্ব আহরণ।
চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭৪ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে গত আট মাসে আদায় হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৩ কোটি টাকা।
এএইচ