Ekhon TV :: এখন টিভি

বাঁধ নির্মাণে ধীরগতি, ফসল নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

অগ্রগতি ৬০ শতাংশ, দাবি বাঁধ নির্মাণ পর্যবেক্ষণ কমিটির

গোলজার আহমেদ , এখন টিভি

১৩ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৫

দুই দফা সময় বাড়ানোর পরও শেষ হয়নি সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ। ফলে সময়মতো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড ৯৫ শতাংশ কাজ শেষের দাবি করেছে। তবে, পর্যবেক্ষণ কমিটি বলছে কাজে অগ্রগতি সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ। 

এদিকে বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে প্রকল্পের কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলায় বছরের একটি মাত্র ফসলই এলাকার মানুষের একমাত্র সম্পদ। এখানকার প্রায় ৩০ লাখ মানুষ একমাত্র বোরো ফসলের ওপর পুরোটা নির্ভরশীল। ২০১৭ সালে দুর্নীতির কারণে নাজুক ফসল রক্ষাবাঁধ ভেঙে শতভাগ ফসল ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালেও আগাম বন্যায় জেলার ১০ উপজেলায় ২৩টি বাঁধ ভেঙে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মূলত ২০১৭ সালের পর শতভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেলে সরকার নড়েচড়ে বসে।

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ‘গত ৭ তারিখে কাজ শেষ হওয়ার কখা, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত মাটি ফেলছে। কবে এই কাজ শেষ হবে কেউ জানে না। এই কাজ আরও আগেই শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু কয়েকদিন পরে যখন বৃষ্টি নামবে তখন কিভাবে এই সড়ক নির্মাণ করবে?’

যে সকল বাঁধের কাজ শেষ হয়েছে সেগুলোতে দুর্বা দুর্মুশ প্যালাসেটিং তো দুরের কথা- অনেক যায়গায় মাটি ফেলা হচ্ছে নতুন করে। বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা তাহিরপুরের মাটিয়ান হাওরের ৬৯, ৭০, ৭১ , ৭২ নম্বর পিআইসিসহ অনেক বাঁধ এখনো অসম্পূর্ণ। কাজ শেষ হতে আরও সপ্তাহ দুই সময়ের প্রয়োজন বলছেন, এখানের কর্মরত শ্রমিকরা।

প্রতি বছর বাঁধ নির্মাণ, সংস্কার ও মেরামতের কাজ ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারী শেষ হওয়ার কথা। এবছরও ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু হলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ায় ৭মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয় সময়। কিন্তু বাড়তি সময়েও কাজ শেষ না হওয়া আতংকিত হাওরপাড়ের মানুষ। যদিও জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি কাজ শেষ হয়েছে ৯৫ শতাংশ।

প্রকল্প মনিটরিং কমিটির সদস্য আবু সুফিয়ান বলেন, ‘এখনও যদি মাটি দেয়া হয় তাহলেতো এই সড়ক বেশিদিন টিকবে না।’

সুনামগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘এই কাজে কোথাও যদি দুর্বলতা থাকে তাহলে সেখানে নির্দেশনা দিয়ে আমরা তা মেরামত করে দিচ্ছি।’

এবছর ৭৪৫ কিলোমটিার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ, সংস্কার ও মেরামতের কাজের জন্য ২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৮০ কোটি টাকা বেশি।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement