Ekhon TV :: এখন টিভি

পাহাড়ের মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসছে কয়লা। আর এসব কয়লা ঘরের রান্না ও পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানে ব্যবহার হচ্ছে। গুঞ্জন উঠেছে কয়লার খনি রয়েছে সেখানে। 

খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মাটিরাঙা উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের বামা গোমতি গ্রাম। যেখানে যানবাহন ছাড়াও পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতে হয় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটারের উঁচুনিচু পথ। পার হতে হয় বেশ কয়েকটি ঝিরি ও ছড়া।

প্রত্যন্ত এই গ্রামে এখন উঁকি দিচ্ছে সম্ভাবনার দুয়ার। যেখানে জুম চাষের একটি পাহাড়ে মাটি খুঁড়লে বেরিয়ে আসছে কয়লা। মাস ছয়েক আগে স্থানীয় এক কৃষক পাহাড়টিতে কয়লার অস্তিত্ব পান। কৌতূহলী হয়ে বাড়িতে এনে কয়লা দিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেন তিনি। 

স্থানীয় ওই কৃষক বলেন, মাটি কাটার পর এই কয়লাগুলো দেখছি। আমার সন্দেহ হয়েছে, এগুলো কয়লা। পরে বাসায় এনে কয়লা দিয়ে জ্বালানোর চেষ্টা করি, দেখি আগুন জ্বলছে।

এখন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা প্রতিদিনই সেই পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের কয়লা নিয়ে যাচ্ছেন। যেগুলো ব্যবহার হচ্ছে বাড়ির রান্না ও পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানে।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন আমরা কয়লা সংগ্রহ করে বাড়ির রান্না ও চায়ের দোকানে ব্যবহার করছি। 

ধারণা করা হচ্ছে, এসব কয়লার মান বেশ উন্নত। পরীক্ষা করে এখানে খনি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।

আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ইউনুস বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কয়লাগুলো যাচাই-বাছাই করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হলে দেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়ন হবে বলে আশা করছি।

চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে দুর্গম পাহাড়ে কয়লার খনি পাওয়া গেছে। যা ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে জেলা প্রশাসন।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, আমরা জানার পর সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্থান পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলেছি। এরপর কয়লার প্রকৃতি যাচাই করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে জানানোর পাশাপাশি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এর আগে ১৯৬৭ সালে জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় গ্যাস খনির সন্ধান মেলে। যা বর্তমানে সেমুতাং গ্যাসক্ষেত্র নামে পরিচিত। এখন কয়লার খনি পেলে পাহাড়ের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বাড়বে।

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement