
নদীতে কাঠের ব্রিজ তৈরি করে ইচ্ছামতো টোল আদায়!
রিফাত আহমেদ রাসেল , এখন টিভি
১২ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪০
ভারতের মেঘালয়ের গারো পাহাড় হয়ে নেমে আসা পাহাড়ি কন্যা সোমেশ্বরী। এ নদীটিই দুই পাড়ের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এখানে স্থায়ী কোনও সেতু না থাকায় বর্ষাকালে নৌকা আর শুকনো মৌসুমে অস্থায়ী কাঠের ব্রিজই একমাত্র ভরসা।
নভেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত এ নদীতে নির্মাণ করা ৪টি কাঠের ব্রিজ দিয়ে পারাপার হয় অসংখ্য যানবাহন। তার উপর এ মৌসুমে সাদা মাটির পাহাড়, বিজয়পুর জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে। শুকনো মৌসুমে অস্থায়ী এসব ব্রিজ থেকে ব্যবসা হয় কয়েক কোটি টাকা।
তবে, নদীতে যাত্রী ও পণ্য পারাপারে ঘাট ইজারা নেয়া হলেও সেখানে অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করে আদায় করা হচ্ছে উচ্চহারে টোল। একটি প্রাইভেট কার কিংবা মাইক্রোকে দিতে হয় ৫শ' থেকে ৬শ' টাকা, সিএনজি ও অটো রিকশার জন্য ৩শ' টাকা। তবে রিকশার ক্ষেত্রে ১০০ ও দু'চাকার যানবাহন পারাপারে দিতে হয় ২০ টাকা। এছাড়াও একজন মানুষ পায়ে হেঁটে পার হলেও দিতে হয় ৫ টাকা। এই হিসাবে একটি কাঠের ব্রিজ থেকে মাসে গড় আয় দাঁড়ায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার বেশি।
স্থানীয়দের দাবি, যোগাযোগ ব্যবস্থাই শুধু নয় পর্যটন, শিক্ষা, কৃষিসহ স্থানীয় অর্থনীতিতে বেশ কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে সেতু। তাই, সোমেশ্বরীতে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকার অর্থনীতিতে আসতে পারে পরিবর্তন।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আশ্বাস, শিগগগিরই একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ হবে। এতে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধার পাশাপাশি পর্যটকদেরও যাতায়াতে দুর্ভোগ কমে আসবে।
নেত্রকোণা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান বলেন, সেতু নির্মাণ হলে বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। প্রতি বছর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের টানে সুসং দুর্গাপুরে আসেন হাজারো পর্যটক। তাই সোমেশ্বরীতে ব্রিজ নির্মাণ হলে পর্যটন শিল্পের যেমন বিকাশ ঘটবে, তেমনি কৃষি পণ্য পরিবহণে ভোগান্তি দূর হবে কৃষকদের। তৈরি হতে পারে সরকারের রাজস্ব আয়ের একটি খাত।
এমএম