Ekhon TV :: এখন টিভি

একটি দেশের সকল বাঁধা পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মূল ভিত্তিই হচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি। যে মুক্তি সূচিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে। গেলো দেড় দশকে দেশের অর্থনীতির এই পালে হাওয়া লাগে দ্রুতই।

নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে দেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল সবই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। সকল ব্যবস্থায় লেগেছে সাফল্যের ছোঁয়া। ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

তাই বিশ্বের সামনে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও সক্ষমতা তুলে ধরতে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক সম্মেলন আয়োজন করেছে এফবিসিসিআই। দেশের শীর্ষ এই সংগঠনের ৫০ বছর পুর্তিতে বিজনেস সামিটের অন্যতম আকর্ষণ থাকছে বেস্ট অব বাংলাদেশ এক্সপোতে। যেখানে তুলে ধরা হচ্ছে, পোশাক, প্রযুক্তিসহ প্রায় ৩০টি খাতকে।

১৭টি দেশের ২০০ আমন্ত্রিত বিনিয়োগকারীকে নিয়ে এফবিসিসিআই আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট। শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এক জায়গায় সমবেত করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীত হবে বাংলাদেশ।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে আরও বলেন, বাংলাদেশ সবসময় বিনিয়োগ গ্রহণে প্রস্তুত, সেজন্য সরকার ১৪ বছরে দেশে ব্যবসায়ীক পরিবেশ গড়ে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছর গড়ে ৫ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখা যায় তাহলে ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিণত হবে বলে আশা করি।’

এদিকে ২০৩০ সালের মধ্যে নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। এমনটা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল হতে পারে। এছাড়াও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ।

কোভিড মাহামারি আর ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধর প্রাভাবে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যের দাম। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। এছাড়াও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর ব্যবসায়ীদের যেকোনো ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি রাখারও আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও যোগ করেন, এখানে কোন হতাশার কথা শুনতে চাই না। এখন থেকে নিজেকে তৈরি করতে হবে। যেসব চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে সেগুলো কিভাবে মোকাবিলা করতে পারি এবং আমরা ইনশাল্লাহ তা পারবো।

এই সম্মেলনের মাধ্যমে দেশে বিনিয়োগের এক নতুন যাত্রা হবে বলেই প্রত্যাশা করেন সরকার প্রধান। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান।

ডব্লিউএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement