Ekhon TV :: এখন টিভি

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভোগ্যপণ্য আমদানি বেড়েছে

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভোগ্যপণ্য আমদানি বেড়েছে

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বেড়েছে আমদানি

১১ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪২

চট্টগ্রাম, এখন টিভি

রমজান সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বেড়েছে ভোগ্যপণ্য আমদানি। ফেব্রুয়ারি ও মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ১১ লাখ টন খাদ্যপণ্য এসেছে বন্দরে। বর্তমানে ১৯টি জাহাজ অবস্থান করছে তেল, চিনি, ছোলাসহ খাদ্যপণ্য নিয়ে। আমদানিতে শুল্ক মওকুফ করায় বেড়েছে চিনি আমদানি। ভোজ্যতেল আমদানিও গেলো বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেড়েছে। 

চট্টগ্রাম বন্দরে রমজান সামনে রেখে আসছে একের পর এক খাদ্যশস্যর চালান। মাত্র দুই সপ্তাহ পরই রমজান। তাই খালাসও চলছে দ্রুত গতিতে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এসব পণ্য চলে যাবে দেশের বিভিন্ন বাজারে।

শুধু ফেব্রুয়ারি মাসেই চট্টগ্রাম বন্দরে ৩৩টি জাহাজ থেকে খালাস হয়েছে ৮ লাখ ২৫ হাজার টন খাদ্যশস্য। এরমধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার টন চিনি ও ১ লাখ ৩৮ হাজার টন ভোজ্য তেল। ছোলা ২৫ হাজার টন, ডাল ১৮ হাজার টন ও গম খালাস হয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার টন। আর মার্চের প্রথম সপ্তাহে খালাস হয়েছে আরো ২ লাখ ৬১ হাজার টন খাদ্যশস্য।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদের ৩৩টা জাহাজ এসেছে ভোগ্যপণ্য নিয়ে। চাল, ডাল, গম, ভুট্টা, সয়াবিন তেল, পাম তেল, খোলা চিনি এগুলো মিলিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিকটন পন্য আমরা হ্যান্ডেল করেছি। 

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তথ্য মতে, চলতি অর্থ বছরের সাত মাসে ভোজ্য তেল আমদানি হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টন। যা গেল বছরের চেয়ে ২ লাখ টন বেশি। সম্প্রতি সরকার শুল্ক কর প্রত্যাহার করায় বেড়েছে চিনি আমদানিও।

আমদানিকারকরা বলছেন, বিশ্ব বাজার থেকে চিনি, ছোলা, খেজুর আগের বছরের দামেই কিনেছেন তারা। আর ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে গেলো বছরের চেয়ে কম দামে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার ব্যরিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, একদিকে যেমন আমদানি বেড়েছে অন্যদিকে তেমন মূল্য কমেছে সব মিলে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে ভোজ্য তেলের কোন সংকট হবে না বলে আমরা আশা করছি। এছাড়া আমরা আশা করছি চিনির দামো কমবে।  

তবে ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম কমার এ সুফল পাচ্ছে না ভোক্তারা। এছাড়া অনেক ব্যাংক এখনও ডলার পরিশোধ করতে না পারায় বেশ কিছু জাহাজ থেকে পণ্য খালাসেও দেরি হচ্ছে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশানের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে ব্যাংক যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে ডলার ছাড়ে। যত দ্রুত ড়লার ছাড়বে তত দ্রুত কাজ করা যাবে এবং আমাদের কাজ তত সহজ হবে। 

রমজানের আগে বেশ জমজমাট দেশের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ। প্রতিদিনই বাড়ছে খেজুর, ছোলাসহ বিভিন্ন রমজান কেন্দ্রীক পণ্যের সরবরাহ। বাড়ছে বেচাবিক্রিও। তবে মিল থেকে চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবি বিক্রেতাদের।

বিক্রেতারা বলছেন, রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি, মিল গেটে সরবরাহ, পাইকার ও খুচরা সব পর্যায়ে সরকারের সমন্বিত নজরদারি প্রয়োজন।

এফএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement