
আলোকচিত্র প্রদর্শনী
'কাকলী প্রধানের আয়োজন সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়লে দেশের নদী রক্ষা পাবে'
রামিম চৌধুরী , এখন টিভি
১১ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৯
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, নদীর প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে দেশের আর প্রাণ থাকবে না। নৌপথ খননের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন, এখন দেশে প্রায় ৮০টি ড্রেজার আছে। নদীর প্রবাহ ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। যারা নদী দখল করেছে তাদের তালিকা করা হয়েছে, এখন তা যাচাই বাছাই চলছে। দখলদারদের হাতে নদী থাকবে না, উদ্ধার হবেই।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার (১১ মার্চ) রূপসা সেতুর নিচে টোলঘাটে সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান-এর ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এবং অনুষ্ঠান সমন্বয়ক মাসুম মাহমুদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার-নদী দখলদারদের হাতে থাকবে না। তাঁর নির্দেশনায় ১০,০০০ কিলোমিটার নৌপথ খননের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ'র ড্রেজিং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৮০টি ড্রেজার সংগৃহীত হয়েছ। নৌপথ দখল ও দুষণমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। নৌপথ ও নদী রক্ষার জন্য যারা কাজ করছেন তাদের পাশে বর্তমান সরকার রয়েছে। কাকলী প্রধান নদী নিয়ে যে আয়োজন করেছে এটা সকল জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলেই দেশের নদী রক্ষা পাবে।'
নদীকে নিয়ে সবাইকে ভাবার অহবান জানিয়েছেন ফটো সাংবাদিক কাকলী প্রধান। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিটি ছবির দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট, উচ্চতা ১০ফুট। সংবাদ আলোকচিত্রী কাকলী প্রধান এবং শিশু সংগঠন 'ইকরিমিকরি' সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন্য কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ১০০ নদীর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও টেকনাফে।
আলোকচিত্র প্রদর্শনী ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনায় প্রদর্শনী চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত, বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে ড্রেজার বেইজে ১৬-১৮ মার্চ এবং ঢাকার শ্যামপুর ইকোপার্কে ২০-২২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। আলোকচিত্র প্রদর্শনীগুলোর জন্য সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
ডব্লিউএইচ