
বিজনেস সামিটে হাইটেকে নতুন বিনিয়োগের সম্ভাবনা
সেলিয়া সুলতানা , এখন টিভি
০৯ মার্চ ২০২৩, ১৬:০৪
বিদেশি কোম্পানিগুলো এখন বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারে আগ্রহী। বাংলাদেশ তার দক্ষতা এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় কম দামে শ্রমবাজারের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে।
দেশীয় কোম্পানিগুলোও পিছিয়ে নেই। তারা বাংলাদেশের বাজারেও রেমিটেন্স আকৃষ্ট করছে।
২০৩০ সালে, বাংলাদেশ বিশ্বের নবম মোবাইল গ্রাহক বাজার হবে। দেশে বর্তমানে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলো বলছে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশে ২৭ কোটি মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড গ্রাহক হবে। একই বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা হবে ১০০ মিলিয়ন। বাংলাদেশের পুরো প্রযুক্তি খাতের বাজার এই মুহূর্তে প্রায় ৮ হাজার বিলিয়ন ডলারের।
আর্থিক বাজারে মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিকাশও এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এমএফএস কোম্পানি।
দেশে স্টার্টআপ কোম্পানির সংখ্যা ১,২০০। যেখানে ৯৫ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ। ২০২০-২১ সালে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পরেই রয়েছে সিঙ্গাপুর, চীন, ভারত, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বেড়েছে ৯৪০ শতাংশ। যা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়াতে পারে।
আইসিটি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গত ৬ বছরে স্টার্টআপের মাধ্যমে দেশে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। হার্ডওয়্যারেও প্রায় বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।আমরা আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।
আসছে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে তাই হাইটেক মেন্যুফেকচারিংয়ে বিনিয়োগের সুযোগ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে প্রস্তুত এফবিসিসিআই।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নায়নের পাশাপাশি মানবসম্পদ বিভাগ যে দক্ষতার সাথে কাজ করছে তাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বিদেশি বিনিয়োগে।
জাপান যুক্তরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর কোরিয়ার মতো দেশ এখন শুধুমাত্র আইটিতে এগিয়েই নেই বরং নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে নিজেদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়েছে। সেসব দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভবান হতে পারে বলে মনে করেন সৈয়দ আলমাস কবির।
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, কোরিয়ার মতো দেশ শুধু আইটিতেই নয়, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়িয়েছে। সেসব দেশের প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বাংলাদেশে লাভজনক হতে পারে বলে মনে করেন সৈয়দ আলমাস কবির।
ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। তাই শুধু মোবাইল বা ইন্টারনেট ব্যবহারেই নয়, স্থানীয় শিল্প ও পরিসেবার পণ্য উদ্ভাবন, দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিং ও শিল্পের প্রসার ও মানবসম্পদ উন্নয়ন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে বাংলাদেশকে।
এসআই