
ফ্ল্যাট বুকিং দিয়ে ভোগান্তিতে ক্রেতারা
দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ
আজিজুল সঞ্চয় , এখন টিভি
০৯ মার্চ ২০২৩, ১৪:১৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত দশ বছরে আবাসন ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। শহরে তৈরি ফ্ল্যাটের বিক্রি বেড়েছে। প্লটের মূল্য বৃদ্ধি ও ভবন নির্মাণে নানা জটিলতা নিয়ে তৈরি ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকছেন গ্রাহকরা। বিশেষ করে প্রবাসী ও ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ ফ্ল্যাট কিনছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়া, হালদারপাড়া, বণিকপাড়া, কাজীপাড়া ও মুন্সেফপাড়ায় ফ্ল্যাটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
নগরীতে জায়গা স্বল্পতা এবং ছয় তলার বেশি উচ্চতার ভবন নির্মাণের অনুমতি না থাকায় চাহিদা অনুযায়ী ফ্ল্যাট দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। আর নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাটের দামও বেড়েছে, এতে আগাম বুকিং দিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতারা।
ফ্ল্যাটের ক্রেতারা জানান, বাড়ি নির্মাণসামগ্রীর দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রী রাখতেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে একটা রেডি ফ্ল্যাট কিনতে বাধ্য হলাম।
আবাসন ব্যবসায়ীরা জানান, ৬ তলা ভবন নির্মাণ করতে হলে উচ্চতার সীমাবদ্ধতা সংক্রান্ত আইন রয়েছে। সে কারণে বাড়ি তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আর নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে।
ভবন নির্মাণের বিধি অনুযায়ী, ছয় তলা ভবনের জন্য ১৪ থেকে ১৬ ফুট পাশের রাস্তা প্রয়োজন। তবে জায়গার অভাবে ভবন নির্মাণ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে নাগরিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই শর্ত শিথিল করার সুযোগ নেই, বলছেন পৌর মেয়র।
এম. কে. বিল্ডার্সের মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, বাড়ি নির্মাণ সামগ্রীর দাম সবচেয়ে বেশি রডের। এছাড়া সিমেন্টের দাম তো আছেই। এর মধ্যে জায়গার মালিককে অর্ধেক অংশ দিতে হয়। উচ্চতা নিয়েও সমস্যা আছে। তাই জটিলতা অনেক বেড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির বলেন, বাড়ি নির্মাণে ১১ জন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আছে। এই কমিটি থেকেই বাড়ির উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়। তারা যেভাবে নিয়ম দিয়ে আসছে, তা অব্যাহত থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসন ব্যবসার সাথে জড়িত ১৫ থেকে ২০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে গ্রাহক চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আবারও এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী।
এসআই