Ekhon TV :: এখন টিভি

চাহিদা ও বাজার দর ভালো হওয়ায় এবার চুয়াডাঙ্গায় ভুট্টার ব্যাপক চাষ হয়েছে। তবে ছত্রাকজনিত এক রোগে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে ভুট্টাগাছ। কৃষকরা বলছেন, সংক্রমণের ৩ থেকে ৪ দিনেই পাতা শুকিয়ে গাছ মরে যাচ্ছে। এভাবে ভুট্টার গাছ মরতে থাকলে বিঘা প্রতি অর্ধলক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হবে বলে জানান তাঁরা। 

কিছুদিন পরই ক্ষেত থেকে ভুট্টা সংগ্রহের কাজ শুরু হতো। সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চাষিরা। কিন্তু ফিউজারিয়াম স্টোক রট নামের একটি ভাইরাস ভুট্টাগাছে দেখা দিয়েছে। ফসল ঘরে তোলার আগেই মাঠে শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে ভুট্টা।

ভাইরাসের আক্রমণে সবুজ ভুট্টার গাছ বিবর্ণ হয়ে ধূসর বর্ণ ধারণ করেছে। শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে গাছের গোড়া ও কাণ্ড। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে ভুট্টা। মাঠের পর মাঠ ভাইরাইসের সংক্রমণে দিশেহারা চাষিরা।

চাষিরা বলেন, এখন ভুট্টা ঘরে তুলবো কিন্তু ক্ষেতেই ভুট্টাগাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। যা ক্ষতি হওয়ার সব ক্ষতি হয়ে গেছে। এই রোগ মাঠের পর মাঠ ফসল নষ্ট করে দিয়েছে।

সংক্রমণ রোধে কীটনাশক প্রয়োগ করা হলেও কোনো প্রতিকার নেই। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার ঋণ নিয়ে ভুট্টা লাগিয়ে এখন বিপাকে কৃষকরা। সংকটের সময়ে কৃষি কর্মকর্তাদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের।

ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়ে চাষিরা বলেন, আমরা তো এতো বুঝি না। ওষুধের দোকানে যাচ্ছি, তারা যে ওষুধ দিচ্ছে সেটাই আমরা দিচ্ছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। এদিকে এনজিও থেকে যে ঋণ নিয়েছি, তা এখন পরিশোধ করবো কীভাবে?

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছেন। ভাইরাসজনিত এ রোগের হাত থেকে বাঁচতে ভুট্টা চাষিদের নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া আগামীতে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় বীজ নির্বাচন ও রোগ দমনে আরও সতর্ক হতে হবে।

চাহিদা ও বাজার দর ভালো হওয়ায় এবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। সে হিসেবে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ ৫২০ টন, যার বাজার মূল্য প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। তবে ভাইরাসের কারণে সে লক্ষ্য কতোটা পূরণ হবে তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement