
বাংলাদেশের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নজর

বাংলাদেশের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগ
০৭ মার্চ ২০২৩, ১৬:০৬
সেলিয়া সুলতানা , এখন টিভি
০৭ মার্চ ২০২৩, ১৬:০৬
২০৩০ সালে বিশ্বের নবম ভোক্তাশ্রেণী হবে বাংলাদেশ। ১১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এই মুহুর্তে কর্মক্ষেত্রে মূল্য সংযোজনের জন্য প্রস্তুত।
গত ছয় বছরে বাংলাদেশের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ। ৫ শতাংশ হলেও ২০৪০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব।
আর যদি ১০ শতাংশ হয়, দশ বছরের আগেই সেই মাইলফলকে পৌঁছানো সম্ভব। এই অবস্থায় জাতীয় উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়াতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগ ছিলো ৫ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৩২৩ কোটি ৩ লাখ ডলার।
২০২১-২২ আর্থিক বছরে ৩৭.৫ মিলিয়ন ডলার। কোভিডের সময় এই বছর মোট এফডিআই ছিল ৪.৭ বিলিয়ন ৮ মিলিয়ন ডলার। যা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি।
২০২২-২৩ অর্থবছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ ৪৫৭ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, অর্থাৎ ২১.৮৭ শতাংশ বেশি।
দেশের শিল্প মালিক ও উদ্যোক্তাদের সর্ববৃহৎ সংগঠন এফবিসিসিআই ট্রিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিদেশি কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের দেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, দেশে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। এই সক্ষমতাকে লক্ষ্য করে এগোতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হাইটেক অটোমোবাইল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর প্রতি বিদেশি কোম্পানিগুলো খুবই আগ্রহী। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ট্রিলিয়ন ডলার অর্জন সম্ভব।
বেপজা’র তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত যেসব বিদেশি বিনিয়োগকারী দেশে এসেছে তারা প্রত্যেকেই লাভবান হচ্ছেন। তাদের হিসেবে বৈশ্বিক নানা দুর্যোগেও বেসরকারি বিনিয়োগ ১২ শতাংশ বেড়েছে।
আর বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সরকারের নীতিনির্ধারণেও রাখা হচ্ছে শুল্কমুক্ত সুবিধা ও ওয়ানস্টপ সার্ভিসসহ নানা প্যাকেজ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য অনেক চমৎকার নীতিমালা রয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরে শুল্কমুক্ত দিবস রাখা হয়েছে। এছাড়া কাস্টম ডিউটি ফি ফ্রি করার মতো সুবিধা পাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন, এলডিসি গ্র্যাজ্যুয়েট হলে আান্তর্জাতিক পর্যায়ে পণ্য নিয়ে যেতে দেশীয় উৎস থেকেই রপ্তানিযোগ্য পণ্যে মূল্য সংযোজন করে এমন শিল্পের প্রয়োজন হবে। ৫০ বছর পূর্তিতে বিশ্বের সামনে দেশের সম্ভাবনাময় ১৪টি খাত তুলে ধরা হবে। সাথে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ সম্ভাবনাময় বাজারের হিসেব-নিকাশ রয়েছে।
এসআই