Ekhon TV :: এখন টিভি

নিজেদের প্রয়োজনে কেঁচো সার উৎপাদন করলেও এখন বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কক্সবাজারের কৃষকরা। কেঁচো সারের চাহিদা বাড়ায় উৎপাদনে আগ্রহ বেড়েছে জেলার কৃষকদের।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কেঁচো সারের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৭০০-৮০০ মেট্রিক টন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সার্বিক সহায়তার কথা জানিয়েছে জেলা কৃষি কার্যালয়।

জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা রশিদ আহমদ ১০ শতক জমিতে ৬ লাখ টাকা খরচ করে গড়ে তোলেন কেঁচো সার উৎপাদন কারখানা। প্রাথমিক অবস্থায় বিশেষ প্রজাতির ২০০ কেঁচো দিয়ে সার উৎপাদন শুরু করেন তিনি।

দেড় মাসে ২৪টি হাউজে ৫ মেট্রিক টন সার উৎপাদন করেন রশিদ। জমিতে ব্যবহারের পর অবশিষ্ট সার স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে প্রতিমাসে তিনি ৮০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করেন।

রশিদ আহমদ বলেন, প্রথমে নিজের জমিতে কেঁচো সার ব্যবহারের জন্য দেড় লাখ টাকা খরচ হয়। এরপর নিজেই সার উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। এখন জমিতে ব্যবহারের পর অবশিষ্ট সার বাজারে বিক্রি করে দিই। 

উপকূলীয় এই অঞ্চলের জমিতে সার প্রয়োগের কারণে আম, মাল্টা, লেবু, কাজু বাদাম ও কফির ভালো ফলন হয়। এছাড়া বাজারে সারের মূল্য বেশি হওয়ায় সদর উপজেলার কৃষকরা কেঁচো সার উৎপাদন করে নিজেদের জমিতে প্রয়োগ করছেন।

কৃষকরা বলেন, এই সার ব্যবহারে ফসল ভালো হচ্ছে। আমরা নিজেরাও কেঁচো সার উৎপাদন করছি।

কক্সবাজার সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, এই সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া গাছের শিকড় বৃদ্ধির পাশাপাশি ফলনও ভালো হয়।

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement