Ekhon TV :: এখন টিভি

বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ রান্নার কাজে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা। ফায়ার সার্ভিসের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে অগ্নি দুর্ঘটনায় নাগরিকদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দমকল বাহিনী ও বিশেষজ্ঞদের।

শিল্প কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবন থেকে বস্তি সবখানেই হানা দিচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা। কেড়ে নিচ্ছে শত শত মানুষের প্রাণ ও সম্পদ। ৩৮ শতাংশ আগুনের ঘটনার প্রাথমিক সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হলেও গ্যাস সিলিন্ডার কম দায়ী নয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে সারাদেশে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে ৮৯৪টি অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা আবাসিক এলাকা ও নতুন ভবন ঘুরে দেখা গেছে নিরাপত্তার জন্য ভবনের নিচতলায় গ্যাস সিলিন্ডার রেখে লাইনের মাধ্যমে চুলায় গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি আগুনের ঘটনায় নিশ্চিন্ত থাকতে পারছেন না বাসিন্দারা।

আফতাবনগরের বাসিন্দা অহনা ইসলাম বলেন, নতুন ভবন হওয়ায় বাসায় তিতাসের গ্যাস সংযোগ নেই। তাই এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারই ভরসা। তবে সেই সিলিন্ডারের নিরাপত্তা নিয়ে সারাক্ষণ শঙ্কিত থাকতে হয়।

এদিকে হোটেল-রেস্তোরাঁয় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবহার বাড়ছে। এক্ষেত্রে দোকানিদের অসতর্কতা চোখে পড়ার মতো। অধিকাংশ হোটেলের চুলার পাশেই রাখা হচ্ছে সিলিন্ডার। এতে ঝুঁকি আরও বাড়ছে।

আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু যারা গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করেন তারা কতটুকু সতর্ক থাকেন, সেটা প্রশ্নের বিষয়।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ৬০ লাখের বেশি গ্রাহক এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করেন। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকলেও গ্রাহকের সুবিধা ও চাহিদা বিবেচনায় সিলিন্ডার বন্ধ সমাধান নয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, নগরীতে সিলিন্ডার প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হয়ে গেছে। তাই সিলিন্ডার বন্ধ কোনো সমাধান হতে পারে না। তবে নিরাপত্তার জন্য ব্যবহারের পর সিলিন্ডার বন্ধ রাখতে হবে। এককথায় আমাদের সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।

তবে আগুনের ঘটনায় শুধু গ্যাস সিলিন্ডারকেই দায়ী করতে নারাজ নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব। তিনি মনে করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement