
গরুর দুধ বিক্রি করে মাসে আয় ১০ লাখ টাকা
কাজী মাহফুজ , এখন টিভি
০৬ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪৬
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা গ্রামের নাজিম উদ্দিন। ১৯৯৬ সালে একটি গাভী দিয়ে শুরু করেছিলেন দুগ্ধ খামার। এখন খামারে বাছুরসহ ১১০টি অস্ট্রেলিয়ান জাতের গাভী আছে। যেখান থেকে দৈনিক উৎপাদন হয় ৫৩০ লিটার দুধ। যা বিক্রি করে মাসে আয় হয় ১০ লাখ টাকা।
খামারি নাজিম উদ্দিন বলেন, একটি গাভী থেকে আমার আজ ১১০টি গাভী। বর্তমানে আমার খামারে প্রতিদিন ৫০০ লিটারের বেশি দুধ উৎপাদন হচ্ছে।
স্থানীয়দের কাছে ‘বাংলার নিউজিল্যান্ড খ্যাত’ এই উপজেলায় এখন দুগ্ধজাত গাভীর সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। যেখান থেকে দৈনিক দুধ উৎপাদন ৬০ থেকে ৬৫ হাজার লিটার। যার বাজার মূল্য ৪২ লাখ টাকা। উৎপাদিত দুধের বেশিরভাগই বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে বিক্রি করা হয়। এর বাইরে পাঁচ হাজার লিটারের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে এবং খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হয়।
খামারীরা বলছেন, প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার দুধ বিক্রি হয়। তবে গ্রীষ্মকালে দুধের চাহিদা কম থাকায় বিপাকে পড়তে হয়। এজন্য আরও দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র তৈরির দাবি জানান তাঁরা।
এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে দুগ্ধজাত পণ্য পনির, মাখন ও ঘি উৎপাদন করা হলে কর্মসংস্থান আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান খামারিরা। সম্প্রতি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এলাকার তরুণ যুবক ও খামারিদের পনির এবং মাখন তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, দুগ্ধ খামারগুলোতে কর্মসংস্থান তৈরির জন্য চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে দুগ্ধজাত পণ্য তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খামারিদের পাশাপাশি অনেকে বাণিজ্যিকভাবে উচ্চ ফলনশীল জার্মান, নেপিয়ারসহ বিভিন্ন জাতের ঘাষ চাষ করছেন। উপজেলার প্রায় ১৫৫ একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বিদেশি ঘাস চাষ হচ্ছে। মাসে একবার করে ঘাস বিক্রি করতে পারেন তাঁরা। প্রতি কেজি ঘাস ৫-৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে পশু খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
এএইচ