Ekhon TV :: এখন টিভি

একদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারে বাধ্যতামূলক পাটপণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়নি। অন্যদিকে বাংলাদেশের পাটপণ্যের গতি রুখতে ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক ৬ বছর ধরে বহাল। সরকারি পাটকলগুলো লোকসানের পর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলে যাচ্ছে।

সোনালী আঁশ পাটের সুনাম বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে পৃথিবীর সেরা মানের পাট উৎপাদন হয়। দীর্ঘ পরিক্রমায় পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে নানা উদ্যোগের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে জিনোম সিকোয়েন্স উদ্ভাবনের মতো বড় সাফল্য। এসব সফলতায় ভর করেই রপ্তানি পণ্যের সেরা স্থান অর্জনের সম্ভাবনা ছিলো বাংলাদেশের পাট ও পাটপণ্যের, কিন্তু তা হয়নি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, দেশের মোট রপ্তানির এখন মাত্র ২ শতাংশের কিছু বেশি পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়। করোনা মহামারির সময় এর রপ্তানি ছিলো অনেকটা তলানীতে। 

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৬১ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরে ছিলো ১১২ কোটি ডলার। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, অ্যান্টি ডাম্পিং ইস্যুতে ভারতের কাছে বাজার হারানোর পাশাপাশি আছে দেশের বাজারে পাটপণ্য ব্যবহারের অনীহা।

বাংলাদেশ জুটস গুডস এক্সপোর্টার’স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এস আহমেদ মজুমদার বলেন, ভারত কিন্তু আগে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো না। সেই ভারত আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলো। আমাদের পাট নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত আছে। আমাদের মার্কেট ভারতের সঙ্গে সুইচ ওভার করছে। আমাদের পাট নিয়ে ভারত ব্যবসা করছে। 

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, অ্যান্টি ডাম্পিংয়ের বিরুদ্ধে কিছু করতে হলে মামলা করতে হবে। আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে মামলার প্রস্তুতির জন্য বলা হয়েছে।

পাটমন্ত্রী এই খাত নিয়ে নতুন উদ্যোগের কথা বললেন। এখন পর্যন্ত ৩টি বন্ধ সরকারি পাটকল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু হয়েছে। বাকিগুলোর চালুর প্রক্রিয়া চলছে। নতুন নতুন বাজার তৈরি হচ্ছে। দেশেই ভাল জাতের বীজ তৈরির প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে এসএমই ফাউন্ডেশন হাতে নিয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য যারা রপ্তানি করেন এমন ১০০ জনকে আমরা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এছাড়া তাদের দক্ষতা উন্নয়নে আমাদের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। 

বৈচিত্র্যময় পাটপণ্য রপ্তানিতে নবযুগের আশায় চলতি বছর পাটকে ঘোষণা করা হয়েছে বর্ষপণ্য। পাশাপাশি সম্প্রতি পাটকে কৃষিপণ্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement