
রাজশাহীতে সরিষা থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা আয়ের আশা
রাকিবুল হাসান , এখন টিভি
০৫ মার্চ ২০২৩, ১৪:২২
রাজশাহীতে মাঠ থেকে কেটে আনা সরিষা মাড়াইয়ে কৃষাণীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় তেলের ব্যবহারে লাগাম টানতে হবে না ভেবে স্বস্তি ফিরেছে তাঁদের মনে।
কৃষাণীরা বলেন,বাজার থেকে তেল কিনতে গেলে বেশি অসুবিধা হয়। এখন সরিষা ভাঙিয়ে তেল পাওয়া যাবে। বাড়ির তেলের চেয়ে ভালো কিছু হয় না।
চলতি মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চলে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৩৮ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যার ৭৫ শতাংশ সরিষা ঘরে তুলেছে চাষিরা। যা থেকে প্রতি হেক্টরে সরিষা মিলছে পৌনে দুই টন। বাকি ২৫ শতাংশ সরিষা মাড়াই শেষে ঘরে তুলতে মাঠে এখন কৃষকের ব্যস্ততা বেড়েছে।
কৃষকরা বলেন, এবার সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। সরিষা মাড়াই করে আমরা বাজারে বিক্রি করছি, আর ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে।
দেশে ভোজ্যতেলের সংকট কাটাতে আগামী তিন বছরে ১৫৫ শতাংশ সরিষার আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর বিপরীতে প্রথম বছরেই রাজশাহী অঞ্চলে ১৩৫ দশমিক পাঁচ শতাংশ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে বলছে কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শামছুল ওয়াদুদ বলেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবছর বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে। আগামী তিন বছরে সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা আছে তার চেয়ে বেশি আবাদ হবে বলে আশা করছি। একইসঙ্গে আমাদের তেল আমদানি কমে যাবে।
জেলার কাঁকন, মন্ডুমালা ও মোহনপুরের মতো বড় হাটে মানের পার্থক্যে প্রতি মণ সরিষা বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৩২০০ টাকা দরে। এই তিন হাটে সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে অন্তত ৪ কোটি টাকার সরিষা, যা চলবে আগামী তিন মাস পর্যন্ত। এতে চলতি মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চলে সরিষা থেকে কৃষকের আয় হবে অন্তত ১ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা।
সংগৃহীত সরিষা থেকে আসন্ন রমজান ঘিরে ইতোমধ্যে তেলের মাড়াই শুরু করেছেন মিলাররা। এবার উন্নত জাতের সরিষা বারি-১৪ এর উৎপাদন ভালো হওয়ায় প্রতি মণ সরিষা থেকে ১৫ কেজির বেশি তেল পাওয়া যাচ্ছে। সঙ্গে প্রতি মণ সরিষা থেকে মিলছে ২৫ কেজি খৈল।
মিলাররা বলছেন, সরিষা তেলের ভালো চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিনই সরিষা ভাঙানো হচ্ছে, ক্রেতারাও আসছেন। আমরাও খুচরা ও পাইকারি দামে তেল বিক্রি করছি।
এএইচ