
আমদানি-রপ্তানিতে ডলারের একই দর নির্ধারণের দাবি
আরিফ হোসেন , এখন টিভি
০৫ মার্চ ২০২৩, ১৩:২৮
আমদানি-রপ্তানিতে ডলারের বিনিময় মূল্যের সমতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলো ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ ছিলো, পোশাক খাতসহ অন্যান্য খাতে আমদানি করে কাঁচামাল এনে দেশে পণ্য তৈরি করে রপ্তানি করলে ডলার রেটের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় মূল্যের রেট গুনতে হতো ১০৭ টাকা করে। যেখানে রপ্তানি পণ্যে ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ছিলো মাত্র ১০৩ টাকা। আমদানি-রপ্তানির ডলার রেটের পার্থক্য কমাতে অসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) নতুন করে রপ্তানি ডলার রেট বৃদ্ধি করে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে।
এদিকে রপ্তানির ডলার রেট নির্ধারণের পরও আমদানি রেটের সাথে পার্থক্য থাকে আরও ৩ টাকা। যা কিনা আমদানি করে কাঁচামাল এনে পণ্য তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দাবি ব্যবসায়ীদের।
বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা বারবার বলেছি বাফেদা বা ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন রপ্তানি আয়ের ডলার রেট নির্ধারণ করতে পারে না। এটা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, আর আমদানি-রপ্তানির ডলার রেট সমান হতে হবে।
আমদানি-রপ্তানিতে ডলার রেটের সমতা দরকার বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, আমদানি-রপ্তানিতে ডলার রেটের সমতা প্রয়োজন। তাহলে রপ্তানিকারকরা স্বস্তির মধ্যে থাকবে।
প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দামের সমতা রাখা হয়েছে। প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠালে ডলার রেট ১০৭ টাকা করেই পাবে।
এএইচ