Ekhon TV :: এখন টিভি

কম খরচে বেশি লাভ, ফরিদপুরে বাড়ছে সূর্যমুখী চাষে

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:০৪

কম খরচে বেশি মুনাফা পাওয়ায় ফরিদপুর জেলার কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখী চাষ। যার সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।

দর্শনার্থীরা জানান, প্রতি বছর এই সময় সূর্যমুখীর ফুল ফোটে, তাই তারা প্রতি বছরই এখানে আসেন সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

গত মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় ৩২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর আবাদ হয়েছিলো। যা থেকে উৎপাদিত ৬৪ মেট্রিক টন বীজের বাজার মূল্য ছিলো ৬৫ লাখ টাকা।

চলতি মৌসুমে জেলার নয় উপজেলার দেড় শতাধিক কৃষক ৫২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করেছেন। যা থেকে একশ মেট্রিক টন বীজ উৎপাদনের আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এর আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি।

সূর্যমুখী চাষিরা জানান, সূর্যমুখী চাষ করে তারা প্রচুর লাভ পাচ্ছেন। আর বেশিরভাগ কৃষকই দীর্ঘদিন ধরে এ চাষের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া সূর্যমুখী চাষের পরও একই জমিতে একাধিক ফসল চাষ করা যায়। তাই কৃষকদের মাঝে এ চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সূর্যমুখীতে অন্যান্য তেলের তুলনায় দশগুণ বেশি পুষ্টি রয়েছে। এই তেলে কোলেস্টেরলও নেই। এতে রয়েছে প্রচুর প্রাণশক্তি, যা শরীরের দুর্বলতা কমাতে এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এই তেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়াও অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর আয়ুষ্কাল কম এবং লাভজনক হওয়ায় এর চাষ বাড়ছে।

ফরিদপুরের বিএডিসি ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ইসলাম খান জিয়া বলেন, সূর্যমুখীর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কারণ সূর্যমুখীর বীজে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ইউরিক অ্যাসিড থাকে যা আমাদের শারীরিক অবস্থার জন্য ভালো। এছাড়া এই তেলে কোনো ক্ষতিকর অ্যাসিড থাকে না।

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সারিবদ্ধভাবে সূর্যমুখীর বীজ রোপণ করা হয়। তিন মাস পর ঘরে তোলা যায় ফসল। এর মধ্যে দুইবার সেচ ও সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক দেয়ার প্রয়োজন হয়।

রোপণ থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রতি একর জমিতে খরচ হয় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা। আর সেখান থেকে উৎপাদিত সূর্যমুখী বীজের বাজার মূল্য ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় পরিত্যক্ত গাছ।

এসআই

Advertisement
Advertisement
Advertisement