
মৌমাছির পরাগায়নে ২০ শতাংশ ফলন বৃদ্ধি!
কাজী মনিরুজ্জামান , এখন টিভি
১৬ মার্চ ২০২৩, ১৩:২৭
শরীয়তপুরের বিস্তীর্ণ মাঠে এখন কালোজিরা ও ধনেপাতার সাদা ফুল। একদিকে চাষিরা ব্যস্ত ফসলের মাঠ, অন্যদিকে মৌমাছির ঝাঁক ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত।
বছরে একই জমিতে ধান ও পাটের পর মসলা জাতীয় ফসল চাষ করছেন শরীয়তপুরের কৃষক। স্বল্প খরচে ভালো লাভ হওয়ায় এমন আগ্রহ। এছাড়া, এসব ক্ষেতে অস্থায়ীভাবে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার বাক্স বসিয়ে আহরণ করা হচ্ছে মধু।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, মধু পোকার কারণে ফসলের পরিমাণ বেড়েছে।
১০ থেকে ১৫ দিন পর বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়। কাঁচা মধু কিনতে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন।
তবে, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মধুর পাশাপাশি এ থেকে পাওয়া পোলেন, বি-ব্যানন, রয়েল জেলিসহ বিভিন্ন দামি উপাদান সংগ্রহ করা গেলে অর্থনৈতিকভাবে আরো সমৃদ্ধ হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন গবেষকরা।
শরীয়তপুর উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, কালোজিরার মধুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তাই খামার থেকে বেশি দামে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া কেজি প্রতি মধু বিক্রি করা যায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
এ অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ু মসলা ফসলের উপযোগী। এতে মৌমাছির পরাগায়নের ফলে ফলন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, মৌমাছির পরাগায়নের ফলে ফলন ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। তাই এমন উৎপাদন বাড়লে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়।
চলতি বছর শরীয়তপুরে ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর ধনিয়া ও ৩ হাজার ৬৮০ হেক্টর কালিজিরা চাষ হয়েছে। যেখান থেকে ৯৫ টন মধু সংগ্রহের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে সাত কোটি টাকা। এছাড়া এখান থেকে উৎপাদিত ধনে ও কালোজিরার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৬৫ কোটি টাকা।
এসআই