
সিংগাইরে শত কোটি টাকার গাজর উৎপাদন
দেশের চাহিদার প্রায় ৫০-৫৫ ভাগ উৎপাদন এ অঞ্চলে
আসাদ জামান , এখন টিভি
১৩ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪৯
আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দিন দিন গাজরের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামই এখন গাজর গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশের চাহিদার প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ ভাগই উৎপাদন হচ্ছে এ অঞ্চলে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় শত কোটি টাকা।
চলতি মৌসুমে উপজেলার এক হাজার হেক্টর জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে। সব খরচ বাদে চাষিদের বিঘা প্রতি মুনাফা হচ্ছে অন্তত ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ অঞ্চলের গাজর যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন বাজারে।
চাষিরা জানান, ‘এবছর গাজরের আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। সারাদেশেই গাজরের চাহিদাও অনেক ভালো। আমরা এবছর ভালো লাভবান হবো।’
ভালোমানের হিমাগার স্থাপন ও বিদেশে গাজর রপ্তানি করা গেলে আরো বেশি মুনাফা করা সম্ভব বলে জানান চাষিরা।
এক কৃষক বলেন, ‘এবছর ১২ বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। এই জমি থেকে ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকার গাজর বিক্রি করেছি। এছাড়াও দুই বিঘা এখনও আছে।’
আরেক কৃষক বলেন, ‘আমাদের এখানে হিমাগার না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়। হিমাগার থাকলে গাজরগুলো তুলে সেখারে রেখে ভালো দামে বিক্রি করতে পারতাম।’
অল্পসময়ে বেশি লাভ হওয়ায় গাজর চাষে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এ বছর প্রায় ৪৫ হাজার মেট্রিক টন গাজর উৎপাদন হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. টিপু সুলতান স্বপন বলেন, ‘এবছর এক বিঘা জমি থেকে কৃষকরা প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ মণ গাজর উৎপাদন করতে পেরেছে। যত বেশি উৎপাদন হচ্ছে কৃষকরা কিন্তু ততই বেশি লাভবান হচ্ছে।’
আকন