Ekhon TV :: এখন টিভি

আলু রপ্তানি শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন রংপুরের চাষীরা

রংপুর প্রতিনিধি, এখন টিভি

১২ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৫

দেশে আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রংপুর। কিন্তু ভরা মৌসুমেও ন্যায্য দাম পান না কৃষকরা। আবার সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয় অনেক আলু।

এদিকে উৎপাদিত আলু মালয়েশিয়া, নেপাল, হংকংসহ সৌদিআরবে রপ্তানি শুরু হওয়ায় আশার আলো দেখছেন চাষীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা বৃদ্ধি করা হলে আলু রপ্তানিতে আয় কয়েকগুণ বাড়বে।

২০১২ সালে দেশ থেকে প্রথম যে আলু রপ্তানি হয়, তার শুরুটা ছিলো রংপুর থেকে। আলু রপ্তানির তালিকায় আছে সিঙ্গাপুর, মালোয়শিয়া, শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ। আর রপ্তানি শুরু হওয়ার পর থেকেই আলু চাষে আশার আলো দেখছেন স্থানীয় চাষীরা।

আলু চাষীরা বলেন, রংপুরে আলুর ভালো ফলন হয়েছে। এখন ভালো দাম পাওয়া গেলে কৃষকের লাভ হবে। আর রপ্তানি হলে আমাদের আলুর বাজারও সম্প্রসারণ হবে। 

রপ্তানিকারকরা বলছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় আলু রপ্তানির ক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণ আলু রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

এক রপ্তানিকারক বলেন, গত বছরেও আমি ৪৫০ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করেছি। এবার আমাদের আলু মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও নেপালে যাবে।

বিদেশের মাটিতে দেশের আলু রপ্তানিতে প্রধান চ্যালেঞ্জ বাছাই ও মান নিয়ন্ত্রণ। তাই এবার রপ্তানিযোগ্য আলু চাষে কৃষকদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ তদারকির কথা বলছে কৃষি বিভাগ।

পীরগাছা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, আমরা কৃষকদের উন্নতমানের বীজ রোপণ ও ভালোভাবে সেচ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কীটনাশক ব্যবহারেও সতর্ক হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ওয়াদুর রহমান মন্ডল বলেন, আলু চাষী, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ যে পরিমাণ আলু রপ্তানি করে তা উৎপাদনের তুলনায় অনেক কম। তাই দেশে আলুর রপ্তানি বাড়াতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেওয়াসহ উত্তরের কৃষি অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে স্থানীয়ভাবে গড়ে তুলতে হবে কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা।

অর্থনীতিবিদ ড. মোরশেদ হোসেন বলেন, রংপুরে কৃষিভিত্তিক অনেক পণ্য উৎপাদন হয়। আর কৃষিভিত্তিক পণ্যকে শিল্পপণ্যে রূপান্তরের জন্য শিল্পায়ন প্রয়োজন। এটা হলে রংপুরের বাজারও সম্প্রসারণ হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রংপুরে মোট উৎপাদিত আলুর ২৯ শতাংশ হিমাগারে রাখার ব্যবস্থা আছে। বাকি ৭১ শতাংশ আলুর কোন ব্যবস্থা না থাকায় তুলনামূলক কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হয়। চলতি মৌসুমে রংপুরে আলু চাষ হয়েছে ৫৪ হাজার হেক্টর জমিতে, যার মধ্যে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে রপ্তানিযোগ্য আলু।

এএইচ

Advertisement
Advertisement
Advertisement