Ekhon TV :: এখন টিভি

গম উৎপাদন লাভজনক হলেও ব্লাস্ট রোগের কারণে ২০১৬ সাল থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় গম উৎপাদন নিষিদ্ধ করে কৃষি বিভাগ। তবে ব্লাস্ট প্রতিরোধক নতুন জাতের বীজ উদ্ভাবনের পর আবারও গম উৎপাদন শুরু হয়েছে ঝিনাইদহে। গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার টনের বেশি, যার বাজারমূল্য প্রায় ১২২ কোটি টাকা।

বৈশ্বিক মন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বেড়েছে গমের দাম। তাছাড়া যোগান ব্যাহত হওয়ায় বিশ্ব বাজারে সংকট আছে গমের সরবরাহ নিয়েও। এমন পরিস্থিতিতে দেশে গম উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের বীজ বিতরণের পাশাপাশি প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা ঝিনাইদহে গত এক দশকের মধ্যে চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ গম উৎপাদন হয়েছে। গম চাষে পানি, সার, কীটনাশক ও নিড়ানীতে ব্যয় তুলনামূলকভাবে কম, তাই স্বল্প খরচে ভালো ফলন পাওয়ায় খুশি গম চাষীরা।

তারা বলেন, ‘গত একযুগে আমরা গমের এমন ভালো ফলন দেখিনি। আর গম চাষে অন্য ফসলের তুলনায় খরচ অনেক কম, অন্যদিকে লাভ অনেক বেশি।’

ব্ল্যাস্ট রোগের কারণে ২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গম চাষ বন্ধ ছিলো ঝিনাইদহে। পরবর্তীতে গমের নতুন জাত বারী ৩০,৩২,৩৩ উদ্ভাবনের পর গম উৎপাদন বৃদ্ধি পায় জেলায়। এতে করে ঝিনাইদহ খাদ্যে স্বয়ংম্পূর্ণতা অর্জন করে বলে জানায় জেলা কৃষি কার্যালয়।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ‘গম সংকটে বাজারে দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবে আশা করছি এই সংকট কেটে যাবে। ফলে আমাদের দেশ গম আমদানি থেকে অনেকটাই কম করতে হবে।’

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আজগর আলী বলেন, ‘আমাদের জেলায় খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই। এবছর ১২২ কোটি টাকার গম উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।’

চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহে ২০ হাজার ২৭৯ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১২২ কোটি টাকা।

আকন

Advertisement
Advertisement
Advertisement

এই সপ্তাহের সর্বাধিক পঠিত গুরুত্বপূর্ণ কৃষি খবর