Ekhon TV :: এখন টিভি

খালিয়াজুরী নেত্রকোণা জেলার হাওর এলাকা। বর্ষাকাল শেষে এখানকার বেশির ভাগ জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়। তবে কিছু জমি পড়ে থাকে অনাবাদি হিসেবে। এমন ১০০ একর আগাছা ও ঝোপঝাড়ে প্রথমবারের মতো ভুট্টার চাষ হচ্ছে।

সরকারি-বেসরকারি মালিকানাধীন এসব জমি চার বছরের জন্য ইজারা দিয়েছে ৬ সদস্যের একটি কৃষক দল। মূলত, অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার চেষ্টা।

স্থানীয় এক কৃষক জানান, তিনি প্রায় ১০০ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। চলতি বছর তিনি খরচটুকু অর্জন করতে পারলেই খুশি।

খালিয়াজুরী ছাড়াও মোহনগঞ্জ উপজেলার মদনে ৩৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। বোরো ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ৬ টন, কিন্তু ভুট্টা চাষে তা দাঁড়ায় ১০ টন।

সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ৭ কোটি টাকার বেশি বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

ভুট্টা চাষিরা জানান, এ এলাকায় আগে কখনো ভুট্টার চাষ হয়নি। অনেকেই নতুন ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এছাড়া ধানের তুলনায় আবাদে খরচও কম হয় ।

কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষির উন্নয়নে চাষিদের দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ । পাশাপাশি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনতে নেয়া হয়েছে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম।

নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, জেলার ৯০০ কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এ বছর যে পরিমাণ ভুট্টা আবাদ করা হয়েছে তাতে প্রায় ৭ কোটি টাকার ফলন হতে পারে।

নেত্রকোণার হাওর এলাকার প্রায় ১৩৭০ হেক্টর জমি অনাবাদি জমি রয়েছে। এসব জমি চাষের আওতায় আনলে বাড়বে উৎপাদন। গতি পাবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি।

এসআই

Advertisement
Advertisement
Advertisement

এই সপ্তাহের সর্বাধিক পঠিত গুরুত্বপূর্ণ কৃষি খবর