
কৃষির নতুন হাব গলাচিপায় পানির অভাব
সৈয়দ হুমায়ুন কবির , এখন টিভি
০২ মার্চ ২০২৩, ১৫:১১
কৃষির নতুন হাবে পরিণত হয়েছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা। জেলার প্রায় অর্ধেক আলু আর ধান উৎপাদন হয় এই উপজেলায়। এ বছরও আরও বেশি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় চাষিরা। তবে সেচ ব্যবস্থার অভাবে বড় লোকসানের শঙ্কায় তারা। একইসাথে বাড়ছে উৎপাদন খরচ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সর্ব দক্ষিণের পটুয়াখালী জেলার কৃষি আবাদের প্রায় সিংহভাগ আসে গলাচিপা উপজেলা থেকে। চারদিকে নদী বিস্তৃত উপজেলাটির ৮৫ ভাগ মানুষের একমাত্র রুটিরুজির উৎস কৃষি।
গেল ২ যুগ ধরে এই অঞ্চলে আলু ও বোরো ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন এখানকার কৃষকরা। তাই প্রতিবছরই অনাবাদি জমি যুক্ত হচ্ছে চাষের তালিকায়।
গেল বছর জেলার ১ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আর ২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হলেও এ বছর আবাদ বেড়েছে দ্বিগুণ। চলতি বছর জেলায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ৫০০ হেক্টর আবাদ হয়েছে গলাচিপায় উপজেলায়। আর বোরো ধান রোপণ করা হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে।
তবে গলাচিপা উপজেলায় চাষের জমিতে দেখা দিয়েছে তীব্র পানির সংকট। পানির অভাবে ফসলের জমি ফেটে চৌচির। আবার কেউ দূর থেকে পানি এনে জমিতে দিলেও সেখানে যোগ হচ্ছে বাড়তি খরচ। এতে চলতি মৌসুমে লোকসানের শঙ্কা তাদের।
কৃষকরা বলেন, ‘গতবারের চেয়ে এবার ফলন ভালো হলেও সেচের অবাবে ধান ও আলু গাছ মরে যাচ্ছে।’
চলতি বছর জেলায় ৪ কোটি টাকার আলু ও ১২ কোটি টাকার বোরো ধান বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে শুধু গলাচিপা উপজেলায় ৯০ লাখ টাকার আলু ও ৩ কোটি টাকার ধান বিক্রি হবে বলছে কৃষি বিভাগ। আর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চাষিদের সবধরনের সহযোগীতার পাশাপাশি লোকসান কমাতে সেচযন্ত্র ভাড়া দেয়ার পরামর্শ কৃষি কর্মকর্তাদের।
বিএডিসি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কোন প্রকল্প চলমান নেই। এছাড়া আমাদের কাছে কিছু সেচযন্ত্র রয়েছে যা কৃষকদের ভাড়ায় দিয়ে থাকি। কৃষকদের যদি আগ্রহ থাকে তাহলে তারা এই সেচযন্ত্রগুলো নিয়ে তাদের জমিতে সেচ দিতে পারেন।’
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষকরা হাইব্রিড ও উপষি বোরো আবাদে আগ্রহ রয়েছে। ইতোমধ্যে তারা চাষাবাদে ব্যস্ত রয়েছে।’
গত বছর জেলায় ২ কোটি টাকার আলু ও ৯ কোটি টাকার বোরো ধান বিক্রি করা হয়।
আকন