Ekhon TV :: এখন টিভি

হলিউডে ব্যস্ত বাংলাদেশের জিসান

কাজ করেছেন ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, এক্সটেন্ড, নর্থম্যানে

হলিউডে ব্যস্ত বাংলাদেশের জিসান

জিসান কামরুল হাসান

১০ মার্চ ২০২৩, ১৩:২৪

সৈয়দ ইফতেখার , এখন টিভি

সিনেমা মুক্তির আগে দর্শকদের জন্য অবমুক্ত করা হয় টিজার ও ট্রেইলার। যতই দিন যাচ্ছে টিজার-ট্রেইলারের কদর ততই বাড়ছে। শুধু সিনেমা নয় ওয়েব সিরিজ, বিভিন্ন শর্টফিল্মসহ নানা ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে ব্যবহৃত হচ্ছে টিজার-ট্রেইলার। নির্ভুলভাবে কাজটি করার জন্য চাই বিশেষ দক্ষতা। আর এই দক্ষতার প্রমাণ দিয়েই বিশ্ব দরবারে নিজেকে চেনাচ্ছেন বাংলাদেশের জিসান কামরুল হাসান। এই যুবক এখন কাজ করছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলিউডে। আয় করছেন লাখ লাখ ডলার। ইতোমধ্যে কাজ করেছেন জেমস ক্যামেরুনের মতো বিখ্যাত পরিচালকের।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউডে কাজ করা মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনার জিসান কামরুল হাসান বলেন, বেসিকালি আমি ট্রেইলারের কাজ করি। তবে আমরা কাজ করি আমাদের নাম ট্রেইলারে যায় না কিছু টেকনিক্যাল কারণে। আর আমি শুধু ইউটিউবের জন্য ট্রেইলার বানাই বিষয়টা ঠিক তা না। থিয়েটারের জন্য আমরা ট্রেইলার বানাই। আবার এই ট্রেইলারের দুইটা ভার্সন হয়। একটা ইন্টারন্যাশনাল ভার্সন, আরেকটা ডমেস্টিক। ডমেস্টিক ভার্সনটা শুধু আমেরিকা বা কানাডার জন্য হয়ে থাকে। 

ইতোমধ্যে জিসান কামরুল হাসানের গল্প উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও। মার্ভেল স্টুডিও'র সাম্প্রতিক গ্রাফিক-ইনটেনসিভ হিট 'ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস' থেকে 'লাস্ট নাইট ইন সোহো' সমালোচকদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত। কুমিল্লার লাকসাম থেকে জিসান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের কালভার সিটিতে গিয়ে নিজের লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘ-কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছেন।

জিসান বলেন, ২০২২ সাল থেকে আমি ব্যাক-টু-ব্যাক মর্ভিয়াসের কাজ করি। ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, এক্সটেন্ড, এয়ার রান সিজন ২, নর্থম্যানেও কাজ করেছি আমি। এছাড়াও আরও অনেক কাজ আছে আমার। 

তিনি আরও বলেন, একই কাজ, একই ধরণ ও পদ হলেও এখানে কিন্তু একেক ধরণের বেতন। কিন্তু বেতন অনেক বেশি যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে বেতন দেখে কিন্তু সত্যিকার অর্থে এখানে বেতন তার চেয়েও বেশি। তবে স্কিলের উপর নির্ভর করেই এখানে বেতন বা অর্থ উপার্জন করতে হয়। 

মূলত ২০০২ সালে স্বপ্ন দেখলেও জিসান ২০০৭ সালে তার প্রথম ব্যক্তিগত কম্পিউটার পান। ২০০৮ তিনি সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং ইউটিউব দেখে নিজে থেকে ফটোশপ অনুশীলন শুরু করেন। আগে থেকেই তার আগ্রহ ছিলো থ্রিডি অ্যানিমেশন ও মোশন গ্রাফিক্সের প্রতি। ঢাকার আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে সিএসইতে স্নাতক করেছেন জিসান কামরুল হাসান। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জিসান বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলে যান। 

ইতোমধ্যে তার কাজ ও পরবর্তীতে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ অনেক পুরস্কার পেয়েছে। জিসানের স্বপ্ন বাংলাদেশের নাম আরও উজ্জ্বল করা। 

আরএন

Advertisement
Advertisement
Advertisement